,

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মতবিনিময় করেন চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা

এম কামরুজ্জামান,শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃসাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বলেন, উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে জনসাধারণের সুবিধার্থে বে-সরকারি এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অর্থায়নে গণলেট্রিনের স্থান নিদ্ধারণের জন্যে সরেজমিনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান তদন্তে এসে স্থানটি নির্বাচিত করে লেট্রিন নির্মান করার নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক নির্মান কাজ শুরু করে ওয়ার্ল্ড ভিশন । নির্মাণাধীন গণলেট্রিনের চলমান কাজের স্থানে ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)” বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগান স্থানীয়ও মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর ফকির,গফফার ফকির,সোহারফ হোসেন সহ কয়েকজন। এ ছাড়া তারা গন ল্যাট্রিনের কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিযয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে জনৈক লুৎফার ফকিরের নিকট কাজ বন্ধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার ওপর রেগে যান এবং মারতে উদ্ধত হন এতে আমি প্রতিবাদ করি।
তিনি আরো বলেন, লুৎফর ফকির তার সাথে কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে হেরে যান। সেই থেকে আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করে আছে। ২০০৩ সালে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে হামলা হয়েছিল তার অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারী ওই লুৎফার ফকির। তিনি একজন দখলবাজ ও লুটতেরাজ কারী। তিনি মুক্তিযোদ্ধার দোহাই দিয়ে আনুমানিক ২০০ বিঘা হরিনগর মৌজার চিলের খাল অবৈধভাবে দখল করে খাচ্ছে। ইতিপূর্বে তিনি আমাকে ৬/৭ বার হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে জীবনের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, মুক্তিযোদ্ধারা হরিনগর বাজারে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধারা যে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে তার কোন বৈধ কাগজপত্র নেই, ওটা সরকারি জায়গা। তবে শুনেছি জনৈক ব্যক্তি সোহারাব হোসেন ওই জায়গার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় বরাবর একটা আবেদন করেছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আসাদুজ্জামন বলেন, হরিনগর বাজারের গণমানুষের স্বার্থে ওয়াল্ড ভিশনকে পাবলিক টয়লেটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং তারা কাজ শুরু করেছিল। মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড লাগিয়ে জায়গা দখলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের কোন অফিস ছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে তারা অফিস করার জন্যে একটা সাইনবোর্ড তুলেছে শুনেছি। আমার জানামতে তাদের অফিসের নামে বৈধ কোন কাগজ নেই।
মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর ফকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিগত ৩০ বছর ধরে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধ অফিস ছিলো। কিন্তু জায়গাটি সরকারি হয় আমরা কাগজপত্রের জন্য সোহারাফ হোসেন দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত দিয়েছে।তিনি আরো বলেন, আমি কি ছেলে মানুষ যে ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধাকে হুমকি দেবো। আমার জামাই সোহারাফ হোসেন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার অফিস গেলে সরকার কমিশনার ভূমি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কাগজপত্র লাগে না আপনার জায়গায় কাজ শুরু করেন। তার পর আমরা কাজ শুরু করি তখন ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা লোকজন নিয়ে কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডলকে জনসুমক্ষে লাঞ্ছিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *